Thursday, 26 March 2015

সফলতার বিষয়ে জাকারবার্গের ১০ উক্তি


ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ প্রযুক্তি বিশ্বের একজন সফল উদ্যোক্তা। টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তলিকায়ও রয়েছে তার নাম। তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার।

তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। আর এসকল বক্তব্যে সফলতা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
তার বিভিন্ন বক্তব্য থেকে বাছাই করা ১০টি উক্তি প্রকাশ করেছে ইনক ম্যাগাজিন।

১. দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ব্যর্থ হওয়ার একটি মাত্র উপায় আছে আর তা হল ঝুঁকি না নেওয়া।

২. আমরা মানুষের সম্পর্কে কী জানতে চাই, সেটি প্রশ্ন না। প্রশ্ন হল মানুষ তাদের সম্পর্কে কতটুকু জানাতে চায়।

৩. আমি আমার ডর্ম রুমে ফেসবুকের কোড লিখেছি এবং সেখান থেকেই ফেসবুক চালু করেছি। প্রতি মাসে ৮৫ ডলারের বিনিময়ে আমি সার্ভার ভাড়া করেছিলাম, এই টাকা জোগাতে আমি সাইটে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। আর এখন পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দিয়েই আমরা আমাদের খরচ যোগাচ্ছি।

৪. আপনার সামনে একটি কাঠবিড়ালি মারা যাচ্ছে, এটি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে যেখানে আফ্রিকায় প্রতিনিয়তই মরছে মানুষ।

৫. দ্রুত কাজ করে অন্যকে অতিক্রম করুন। আপনি যদি সেটি না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি খুব দ্রুত কাজ করতে পারছেন না।

৬. এটা খুবই বিকৃত চিন্তাভাবনা, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে আমাকেও যেতে হয়েছে যেখানে মানুষ আমার কাজকে ছোট করে দেখত। তবে এর ফলে আমরা আরও বড় পরিসরে কাজ করে মানুষকে অবাক করে দেওয়ার মতো উদ্যম পাই।

৭. কেউ কেউ খুব স্মার্ট কিংবা দক্ষ হতে পারে, কিন্তু তারা যদি তাতে বিশ্বাস না রাখে, তাহলে তারা কঠোর পরিশ্রমে আগ্রহী হয় না।

৮. কাজটি করছি, তাহলে সময় কাটানোটা আমার কাছে মূল্যহীন মনে ৮. আপনার সম্পর্কে একটা ম্যুভিতে কি বলা হল কিংবা আপনি কী বলছেন, তাতে অন্যরা খুব একটা গুরুত্ব দিবে না। আপনি কী করেছেন, সবাই সেটি দেখতে চায়।

৯. সিলিকন ভ্যালীতে সবার মধ্যে একটা মনোভাব কাজ করে যে আমাকে এখানে কিছু একটা করতেই হবে। কিন্তু কিছু করার জন্য এটাই একমাত্র জায়গা নয়। আমি যদি এখন শুরু করতাম, তাহলে আমি বোস্টনকে বেছে নিতাম। সিলিকন ভ্যালী ব্যাপারটা কেমন যেন সংকীর্ণ মনে হয় আমার কাছে যা সত্যিই বিরক্তিকর।

১০. আমি প্রতিদিনই আমাকে যে প্রশ্নটি করি তা হল, “আমি কি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছি যা আমি করতে পারতাম?” আমি যদি মনে না করি যে আমি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়।

সূত্র: ইনক ম্যাগাজিন